টেকনাফে ১৬’শ মানুষের বেকারত্ব দূর করলো ‘সেফ প্লাস’ প্রকল্প!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •

দেশের জনগনের বেকারত্ব দুর করার জন্য অগ্রণী ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে ‘সেফ প্লাস’ প্রকল্পে কর্মরত সদ্যসারা।

তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফে ‘সেফ প্লাস’ প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৬’শ স্থানীয় জনগনকে বেকারত্ব দূর করে কর্মজীবি করে তোলেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহযোগিতায় সেফ প্লাস প্রকল্পের অধীনে ইউনাইটেড পারপাস এসব স্থানীয়দের কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দেন।

এ বিষয়ে ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে একটি সমন্বয় সভার আয়োজন করেন ওই এনজিও সংস্থাটি।

ইউনাইটেড পারপাস সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন সভাপত্বিতে উক্ত সভায় বক্তব্যে রাখেন, টেকনাফ প্রেসক্লাব এর সাবেক সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কমিউনিটি এনগেজম্যান্ট এন্ড সোশ্যাল কোহেশনের প্রজেক্ট অফিসার শরিফ হোসেন সবুজ, মার্কেট ডেভলাপমেন্ট এন্ড লিংকেজ এর প্রজেক্ট অফিসার মো. আহসান নেওয়াজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস ডেভলাপমেন্টের প্রজেক্ট অফিসার মনিরা সোলতানাসহ বাহারছড়া, সাবরাংয়ের জনপ্রতিনিধিসহ উপকারভোগীরা। এছাড়া হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ওই প্রকল্পের উপকারভোগীরা রয়েছে।
সভায় সংস্থার সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনাইটেড পারপাস চরম দরিদ্র পরিবার, প্রান্তিক কৃষক, ভূমিহীন, দুর্বল যুবক, মহিলা নেতৃত্বাধীন পরিবারের জীবিকায়নের জন্য আইওএম এর সহযোগিতায় ‘সেফ প্লাস’ প্রকল্পের অধীনে কাজ করে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে আমরা ৪টি ইউনিয়নে সাড়ে ১৬’শ পরিবারকে কর্ম সংস্থার সুযোগ করে দিয়েছি। এই ধারাবাহিকতায় অব্যাহত থাকবে।”

তবে সভা শুরুর আগে ইউনাইটেড পারপাস গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে তাদের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এসময় একাধিক উপকারভোগীরা মুরগি পালন, ছাগল পালন, সবজি উৎপাদন, ফুড প্রসেসিং, কার্পেন্টার, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, সিএনজি অটোরিকশা রিপিয়ারিং, হস্তশিল্প, মোবাইল সার্ভিসিং করে কিভাবে কর্মজীবি হয়ে উঠার গল্প বিস্তারিত তোলে ধরেন।